ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নি মেসি, নেইমার, কাকা

Published on: November 24, 2022

‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন মেসি, নেইমার, রিকার্দো’ – ফেসবুকে এমন পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা যায় যে এই তিনজন বিশ্বখ্যাত ফুটবলার শৈশবকাল থেকে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী, এবং পরবর্তীতে কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এই দাবিকে মিথ্যা আখ্যা দিচ্ছে।

গুজবের উৎস

২০১৬ সাল থেকে এ ধরনের পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে ফেসবুকে। একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালেও এই গুজব প্রকাশিত হয়েছে। কাকা কে নিয়ে পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। নেইমার কে নিয়ে পোস্ট দেখুন এখানে এখানে। মেসি কে নিয়ে পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

 


ফ্যাক্টওয়াচ
অনুসন্ধান

আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসি, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নেইমার এবং আরেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিকার্দো কাকার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, টুইটার একাউন্ট এবং অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। গুগল সার্চ করে বিশ্বখ্যাত এই ফুটবলারদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ খবর কোনো সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায় নি।

এছাড়া SportsManor, Beliefnet (এরা সেলেব্রিটিদের ধর্মবিশ্বাস সংক্রান্ত ডেটাবেজ তৈরি করে), CelebAnswers (এরা সেলেব্রিটিদের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত জীবন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকে) – এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে জানা যায়, লিওনেল মেসি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো ক্যাথলিক খ্রিস্টান। এর মধ্যে SportsManor -এর রিপোর্ট প্রকাশকাল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর, এবং CelebAnswers -এর রিপোর্ট প্রকাশকাল ২০২২ সালের জুন মাসে।

এদিকে নেইমার একজন নিবেদিতপ্রাণ ক্যাথলিক খ্রিস্টান হিসেবে খ্যাত। ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে বিজয় উদযাপনে তাকে ‘100% Jesus’ লেখা হেডব্যান্ড পরতে দেখা যায়। তবে এই বিখ্যাত নিবেদিতপ্রাণ খ্রিস্টান ফুটবলারের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ সম্পর্কিত কোনো সংবাদ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি।

ফুটবলার রিকার্দো কাকা-ও একজন ধর্মপ্রাণ এভাঞ্জেলিকাল (প্রোটেস্ট্যান্ট) খ্রিস্টান হিসেবে পরিচিত। ২০০২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে, ২০০৪ সালে এসি মিলানের একটি ম্যাচে এবং ২০০৭ সালের চ্যাম্পিয়নস লীগে তাকে জার্সির নিচে ‘I Belong to Jesus’ লেখা টিশার্ট পরতে দেখা যায়।

 

কাকার উইকিপিডিয়া পেইজে তাকে একজন ধর্মপ্রাণ এভাঞ্জেলিকাল খ্রিস্টান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কোনো উল্লেখ নেই।

সুতরাং ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এসব দাবিকে “মিথ্যা” চিহ্নিত করছে ফ্যাক্টওয়াচ।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh