এটা কি সোমালি জলদস্যুদের থেকে এমভি আব্দুল্লাহ-এর নাবিকদের ফিরিয়ে আনার ভিডিও? 

Published on: March 25, 2024

যা দাবি করা হচ্ছেঃ এটা এমভি আব্দুল্লাহ-এর নাবিকদের জলদস্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনার ভিডিও।

অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছেঃ দাবিটি মিথ্যা। বাস্তবে এটা ২০২৪ জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে চাঁদপুরে একটি নৌ র‍্যালির ভিডিও। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ- এর  নাবিকদের এখনও উদ্ধার করা যায়নি।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানঃ

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি এমভি আব্দুল্লাহ-এর নাবিকদের জলদস্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনার কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শুরুতেই এটি বিশ্লেষণ করে দেখে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। ভিডিওতে নৌ পুলিশদের “জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪  সফল হোক” লেখা ব্যানার এবং  প্ল্যাকার্ড নিয়ে নৌ র‍্যালি করতে দেখা যায়। অর্থাৎ, এটা আলোচিত ভাইরাল দাবিটিকে সমর্থন করে না।

পরবর্তী সময়ে এই ভিডিওটির উৎস খুঁজে পাওয়ার জন্য ইউটিউবে প্রাসঙ্গিক কিছু কী-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। অনুসন্ধানে ডিবিসি নিউজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ মার্চ আপলোড করা “জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে চাঁদপুরে নৌ র‌্যালি” শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেখান থেকে জানা যায় গত ১১ মার্চ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে চাঁদপুরে একটি নৌ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

যদিও, এই ভিডিও এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, এই দুই ভিডিওতেই “জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪  সফল হোক” লেখা ব্যানার এবং  প্ল্যাকার্ড নিয়ে নৌ পুলিশদের নৌ র‍্যালি করতে দেখা যায়। তাছাড়া দুই ভিডিওতে দেখানো নৌযান, নৌ পুলিশ এবং নৌযানের সাজসজ্জার মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

 অর্থাৎ, এর মাধ্যমে এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে, দুটি ভিডিওই গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত নৌ র‍্যালির।

অন্যদিকে, মূলধারার কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ- এর  নাবিকরা এখনও সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি। কোনো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে এমভি আবদুল্লাহ- এর  নাবিকদের মুক্তি পাওয়া সম্পর্কিত তথ্য এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh