ড. ইউনূস কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন?

Published on: January 4, 2024

যা দাবি করা হচ্ছেঃ  ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী এবং ড. ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে পূনরায় নির্বাচন –এমন দাবি সংবলিত একটি ভিডিও সম্প্রতি শেয়ার করা হচ্ছে ফেসবুকে।

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্তঃ ভিডিওর শিরোনাম মিথ্যা। প্রথমত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমা চাওয়ার বক্তব্যের যে অংশটুকু ভিডিওতে ব্যবহৃত হয়েছে সেটি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার সময়কার। এবং দ্বিতীয়ত, ড. ইউনূসের  তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা এবং পূনরায় নির্বাচনের কোনো ধরনের ঘোষণার তথ্যও খুঁজে পাওয়া যায় নি।

গুজবের উৎস:

ফেসবুকে শেয়ারকৃত ভিডিওগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানেএখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

 ফেসবুকে শেয়ারকৃত ভিডিওটির  সত্যতা ও যর্থাথতা যাচাইয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ধরে ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান শুরু করে। উক্ত ভিডিওটিতে শেখ হাসিনার ক্ষমা চাওয়ার যে অংশটুকু ব্যবহার করা হয়েছে সেটি গুগলে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করা হয়। । এভাবে গত ১৯শে ডিসেম্বর ২০১৮ এ এটিএন নিউজ ইউটিউব চ্যানেল থেকে মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

“অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী” শিরোনামে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মূলত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা প্রসঙ্গে। ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের যে অংশটুকু ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে তিনি একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার পর তার ও তার দলের কমীদের কাজে কোনো ভুলভ্রান্তি  হলে তা দেশবাসীকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য আহবান জানান তিনি।

অর্থ্যাৎ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমা চাওয়ার ভিডিওটি আসন্ন ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে নয়। এটি পুরানো একটি ভিডিও।

পরবর্তীতে, ড. ইউনূসের  তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা এবং পূনরায় নির্বাচনের ঘোষণা সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হলে, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা ড. ইউনূসের অফিসিয়াল কোনো মাধ্যম থেকেই কোনো ধরণের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। বরং, বাংলাদেশে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা একটি মামলায়  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া  নিয়ে নানা প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

সুতরাং, পরিষ্কার ভাবেই বুঝা যাচ্ছে যে, ফেসবুকে শেয়ারকৃত ভিডিওটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ধারণ করা হয়েছে, এবং এর সাথে ড. ইউনুসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত ভিডিওটির শিরোনামকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh