আবারো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন?

Published on: February 28, 2024

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এই মর্মে, খবর ছড়িয়েছে যে, আবারো মরণব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এবং ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতেই তিনি সিঙ্গাপুরে গেছেন। যদিও অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন এমন দাবির বিপরীতে গণমাধ্যমের মারফত একটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। যার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, ক্যান্সার বা কোনো ধরনের গুরুতর রোগে তিনি নতুন করে আক্রান্ত হননি। অযথা গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করতেও সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  

এমন কয়েকটি পোস্টের নমুনা দেখুন এখানে, এখানে,  এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ২০০৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন । সেবার সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ চিকিৎসার পর দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন এই শিল্পী।

তবে তিনি পুনরায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা এবং এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য আছে কি তা জানতে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করা হয়। তবে সেখানে দেখা যায়, bdnews24.com থেকে “ক্যান্সারের ‘গুজব’ না ছড়ানোর অনুরোধ সাবিনার” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি পাবেন এখানে। একই বিষয়টির উপরে চ্যানেল আই থেকেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে। “বিভ্রান্তি না ছড়াতে সাবিনা ইয়াসমিনের অনুরোধ” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির পরবর্তী অংশে বলা হয়েছে,   “চ্যানেল আইয়ের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি যে বার্তা দিলেন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন”। প্রতিবেদনটির বিস্তারিত অংশে সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার বিষয়ে কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য হলো, “নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে প্রতিবছরের মত এবারও সিঙ্গাপুরে গেছেন তিনি। ক্যান্সার বা কোনো ধরনের গুরুতর রোগে তিনি নতুন করে আক্রান্ত হননি। অযথা গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করতে সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

“আমার সমস্ত দর্শক এবং ভক্তদের কয়েকটা কথা বলতে চাই। প্রতিবছরই নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এবার চেকআপে এসে আমার দাঁতের একটা সমস্যা দেখা যায়। এবং ডাক্তার আমাকে এটা রিমুভ করতে বলেন। এবং তাদের কথামত আলহামদুলিল্লাহ, গত ৭ ফেব্রুয়ারি একটি ছোট সার্জারির মাধ্যমে সফলভাবে সেটা রিমুভ করা হয়।

“অযথা কেউ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা গণমাধ্যমে দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না, যা আমার এবং পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমার যত ভক্ত আছেন, তাদের জন্য কষ্টকর”।

অর্থাৎ এই কণ্ঠশিল্পীকে নিয়ে ফেসবুকে যে দাবিগুলো ছড়িয়েছে সেগুলোকে তিনি বিভ্রান্তিমূলক ও গুজব হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গণমাধ্যম তার বক্তব্য আমলে নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। চ্যানেল আই থেকে বলা হয়েছে, সাবিনা ইয়াসমিন তাদের মাধ্যমেই দেশবাসীর প্রতি এমন বার্তা দিয়েছেন।

তাই সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সাবিনা ইয়াসমিনকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত দাবিগুলোকে “মিথ্যা” বলে চিহ্নিত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh