শাকিব খান ও বুবলী এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার হয়েছেন?

Published on: October 13, 2022

সম্প্রতি দেশ ছেড়ে আমেরিকা পালাতে গিয়ে এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার শাকিব খান ও বুবলী — এমন শিরোনামে একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির মধ্যে এ তথ্য প্রচার করা হয়েছে যে, অভিনেতা শাকিব খান ও অভিনেত্রী বুবলীকে এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে তাঁদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কোনো সংবাদ প্রচারিত হয়নি। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের থেকে এ ধরণের কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। সঙ্গত কারণে এমন ভিডিওগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

শাকিব খান ও বুবলীর গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ জানতে তাঁদের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে অনুসন্ধান করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ১২ অক্টোবর ২০২২ তারিখে অভিনেত্রী বুবলী নিজ ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে ছবি আপলোড করেছেন। ৯ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ পত্রিকায় দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া অক্টোবর মাসের শুরু থেকে ফেসবুকে তিনি বেশ সক্রিয় রয়েছেন।

অপরদিকে অভিনেতা সাকিব খান ৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে নিজ ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে Action speaks louder than words ক্যাপশনে একটি ছবি আপলোড করেছেন।

উল্লেখ্য, প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে কুইন্সের আমাজুরা কনসার্ট হলে ঢালিউড ফিল্ম এন্ড মিউজিক এওয়ার্ডের আসর বসবে। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিলো শাকিব খানের। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ সাম্প্রতিক সময়ে তিনি আমেরিকা যাবার উদ্দেশ্যে এয়ারপোর্টে যাননি। এছাড়া শাকিব খান আমেরিকায় ইতিমধ্যেই গ্রিন কার্ড পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে শাকিব খান ও বুবলীর বিয়ে এবং সন্তান সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ হলে মিডিয়া অঙ্গণে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তাঁদের দুজনকে নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শাকিব-বুবলীর বিয়ে ও বিচ্ছেদ ভক্তরা স্বাভাবিকভাবে নেননি। যে কারণে ঢালিউডের এই নায়ক সাধারণ দর্শক ও চলচ্চিত্র অঙ্গণের বিভিন্ন তারকাদের থেকে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব  ছড়ানো হয়েছে।

“দেশ ছেড়ে আমেরিকা পালাতে গিয়ে এয়ারপোর্টে গ্রেপ্তার শাকিব খান ও বুবলী” এ ধরণের ক্যাপশন তেমন একটি গুজব। কেননা শাকিব খান ও বুবলীর ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি সুস্পষ্ট যে তাঁরা বর্তমানে দেশেই অবস্থান করছেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তার হবার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

সঙ্গত কারণে এমন ভিডিওগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh