প্রধানমন্ত্রী কি সাকিবকে এমপি পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন?

Published on: January 17, 2024

যা দাবি করা হচ্ছে: “ব্যারিস্টার সুমনকে মারতে যাওয়ায় সাকিবকে এমপি থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী”- এমন দাবি-সংবলিত ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে। 

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিটি মিথ্যা। জাতীয় মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসিয়াল কোনো মাধ্যম থেকে সাকিব আল হাসানকে এমপি পদ থেকে পদত্যাগের কোনো নির্দেশনার তথ্য বা প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় নি। বরং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল রয়েছেন।

গুজবের উৎস:

শেয়ারকৃত ফেসবুকে ভিডিওটি দেখুন এখানে, এখানে, এখানেএখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ব্যারিস্টার সুমনকে মারতে যাওয়ায় সাকিবকে এমপি থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী- এমন দাবি সম্প্রতি ফেসবুকে ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা। ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা ও যর্থাথতা যাচাইয়ে ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান শুরু করে।

কিছু প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ধরে প্রাথমিক অনুসন্ধান করা হয় জাতীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যমে। সেখানে ভিডিওটির উল্লেখিত দাবির পক্ষে কোনো ধরণের তথ্য বা প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় নি। ভাইরাল ভিডিওটির দাবি নিয়ে আরো সুনির্দিষ্ট হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সাকিবকে সংসদ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। তবে সেখানে এধরণের কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।

ভাইরাল ভিডিওটির উল্লেখিত দাবি নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি। বরং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সংসদ সদস্য হিসাবে সম্প্রতি নির্বাচিত প্রার্থীর নাম ঠিকানা সম্বলিত গেজেটের নথি পাওয়া যায়। সেখানে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসাবে সাকিব আল হাসানের নাম দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত ওয়েবসাইটে গিয়ে দেশের ​​যেকোনো নাগরিক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত প্রার্থীর নাম ঠিকানা সম্বলিত গেজেটের নথি দেখতে পারেন। 

সুতরাং, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও এর দাবির স্বপক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। এছাড়াও প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম থেকে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল রয়েছেন। অর্থাৎ, ভাইরাল ভিডিওর দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

তাই সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল ভিডিওটিকে “মিথ্যা” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh