ছবির ফুলগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি

Published on: August 29, 2023

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, ছবিটি প্রতি বিশ বছর অন্তর অন্তর হিমালয়ে ফোটে এমন একটি ফুলের, যার নাম বানর ফুল। তবে, ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, উক্ত ছবিটিতে দৃশ্যমান যে ফুলটিকে বানর ফুল বলে অভিহিত করা হচ্ছে তা আসলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর এবং পেরু অঞ্চলে ড্রাকুলা অর্কিড (Dracula Orchids) নামক একটি ফুল দেখতে পাওয়া যায় যার সাথে বানরের মুখাবয়বের বেশ মিল রয়েছে এবং এই কারণে উক্ত ফুলটিকে মাংকি অর্কিড (Monkey Orchids) নামেও অভিহিত করা হয়। সুতরাং, সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টের দাবিটিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে। 

এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ছবিটির দাবিটি সঠিক কিনা তা যাচাই করতে আমরা রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে উক্ত ছবিটির উৎস অনুসন্ধান করি এবং Floral Daily এবং Benuevibes.Ng নামক দুটো ওয়েবসাইটে একটি ছবি খুঁজে পাই যার সাথে কথিত হিমালয়ের বানর ফুলের ছবিটির বেশ মিল রয়েছে। উক্ত ওয়েবসাইটগুলো থেকে জানা গেছে যে, সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিটিকে বানর ফুল নামে অভিহিত করা হচ্ছে, সেটা আসলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া, ফ্যাক্টলি এবং ফ্যাক্টক্রিসেন্ডো নামক দুটো ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাও ভিন্ন ভাষায় একই দাবিতে শেয়ার হওয়া পোস্টের দাবি খন্ডন করেছে এবং জানিয়েছে যে, বানর ফুলের ছবিগুলো আদতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। 

 

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশে (ইকুয়েডর, পেরু) ড্রাকুলা অর্কিড নামক একটি ফুল ফুটতে দেখা যায় যা দেখতে অনেকটা বানরের মুখাবয়বের মতো। এই সাদৃশ্যের কারণে ড্রাগন অর্কিডকে ‘মাংকি অর্কিড’ নামেও অভিহিত করা হয়। ড্রাকুলা অর্কিডের কিছু ছবি দেখুন এখানে

 

অতএব, সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিটিকে বানর ফুল নামে অভিহিত করা হচ্ছে তা আদতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি। 

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টের দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh