Published on: January 9, 2024
দ্বাদশ নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে “৪ মিনিটে ৫০ টা ভোট দিছি। আমি আর কত ভোট দিমু?” – শীর্ষক একটি ভিডিও শেয়ার হতে দেখা যাচ্ছে। তবে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, আলোচিত ভিডিওটি গত ১৭ জুলাই ২০২৩ এ ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময়কার। উল্লেখ্য, গত ১৪ মে ২০২৩ এ ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে একটি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটির সাথে সংশ্লিষ্ট দাবিকে “বিভ্রান্তিকর” বলে সাব্যস্ত করছে। |
এমন কয়েকটি পোস্টের নমুনা দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়কার কিনা তা যাচাই করতে আমরা প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে অনুসন্ধান করেছি। আমাদের অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গত ২০ জুলাই ২০২৩ এ প্রকাশিত “৪ মিনিটে ৫০ টা ভোট দিছি, আমি আর কত ভোট দিমু? (ঢাকা ১৭ আসনের একজন মহিলা ভোটার)” – শীর্ষক একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া গেছে, যার সাথে আমাদের আলোচিত ভিডিওটির বেশ মিল রয়েছে। পরে মূল ভিডিওটি দেখে জানা গেছে, এটি গত ১৭ জুলাই ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের সময় ধারণ করা হয়েছিল। ঢাকা – ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা যাওয়ার পর নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচনের নিমিত্তে গত ১৭ জুলাই ২০২৩ এ উক্ত আসনে একটি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ৷ অন্যদিকে, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম একতারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৬০৯ টি ভোট। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
তাছাড়া, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ইউটিউব চ্যানেল থেকেও একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া গেছে, যার সাথে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটির মিল রয়েছে।
অতএব, এই বিষয়টি এখন স্পষ্ট যে, ৪ মিনিটে ৫০ টি ভোট দেওয়ার দাবি সংবলিত ভিডিওটি সম্প্রতি শেষ হওয়া সংসদ নির্বাচনের নয়। বরং সেটা পাঁচ মাস আগের ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের সময়কার ভিডিও।
যেহেতু সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটিও পাঁচ মাসের পুরানো এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, তাই ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত ভিডিওটির দাবিকে বিভ্রান্তিকর বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ |