“সৌদিতে বিয়ে হচ্ছে না ৫২ লাখ নারী-পুরুষের”- শিরোনামে পুরনো খবর ভাইরাল

Published on: February 9, 2022

সম্প্রতি “সৌদিতে বিয়ে হচ্ছে না ৫২ লাখ নারী-পুরুষের” এমন শিরোনামে একটি খবর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালে সংঘটিত হওয়া একটি জরিপের ফলাফল এটি। পরবর্তীতে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে ‘সৌদি গেজেট’ নামক সৌদি আরবের একটি ইংরেজি পত্রিকার বরাতে দৈনিক যুগান্তর এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রায় ৪ বছর পুরনো ওই প্রতিবেদনটিই নতুনভাবে বিভিন্ন নিউজপোর্টালের মাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হচ্ছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এমন একটি খবরকে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে


“TechMaxz” নামক একটি ওয়েবপোর্টালে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে

উক্ত খবরে সৌদি গেজেটের বরাত দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, সৌদি আরবে ৫২ লাখেরও বেশি নারী-পুরুষের বিয়ে হচ্ছে না। সেখানে আরো দাবি করা হয়, বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও ৩০ লাখ ১ হাজার ২৬৪ জন পুরুষ এবং ২২ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৬ জন নারী অবিবাহিত রয়ে গেছেন।

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

সম্প্রতি ভাইরাল প্রতিবেদনের শিরোনামটির সাহায্যে গুগলে কি-ওয়ার্ড সার্চ করা হলে ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন সামনে আসে।

একই শিরোনামে প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তরের এই প্রতিবেদন এবং বর্তমানে ফেসবুকে ভাইরাল ওই প্রতিবেদনের ভাষাগত মিল শতভাগ। শুধুমাত্র প্রতিবেদনে থাকা ছবিটি ভিন্ন।

যুগান্তর প্রকাশিত মূল প্রতিবেদন

সম্প্রতি ভাইরাল প্রতিবেদন

 

ধারণা করা যায়, যুগান্তরের পুরনো ওই প্রতিবেদনটিই হুবুহু নকল করে প্রকাশ করা হচ্ছে।

এছাড়াও এমন একটি খবরের সত্যতা জানতে, সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা সৌদি গেজেট নামক সৌদি আরবের একটি ইংরেজি দৈনিকে ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সন্ধান পাওয়া যায়। “Over 5.6 Million Saudis remain unmarried past marriage age, survey shows” শিরোনামের এই প্রতিবেদনের তথ্যের উপর ভিত্তি করেই যুগান্তরের ২০১৮ সালের ওই প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছিলো।

সুতরাং, পরিষ্কারভাবেই বুঝা যাচ্ছে বর্তমানে ভাইরাল খবরটি প্রায় ৪ বছর আগের। ২০১৮ সালের দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন থেকে হুবুহু নেওয়া হয়েছে। জরিপের সময় উল্লেখ না করে প্রকাশিত এমন একটি প্রতিবেদন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।  তাই পুরনো এই খবরটিকে ফ্যাক্টওয়াচ বিভ্রান্তিকর চিহ্নিত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

Leave a Reply