Published on: November 21, 2022
![]() |
গুজবের উৎস
Dr Zakir Naik নামের একটি আনভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে ২০শে নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা ৫৭ মিনিটে ৩০ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও’র মাধ্যমে এই গুজবটি ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়, Masha Allah. People Starting Accepting Islam in Qatar. Dr Zakir Naik in Qatar (মাশাল্লাহ, কাতারে জনতা ইসলাম গ্রহণ করা শুরু করেছে। কাতারে ডাক্তার জাকির নায়েক )
ভিডিওতে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে ৪ জন যুবক দাঁড়িয়ে আছে এবং ডাক্তার জাকির নায়েক তাদেরকে আরবি ও ইংরেজিতে কলেমা শাহাদাত পাঠ করাচ্ছেন। সাধারণত ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সময় কোনো অমুসলিম কলেমা যথাযথভাবে পাঠ করলেই সে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে বলে ধরা হয়।
পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় বিভিন ফেসবুক পেজ থেকে একই ধরনের ক্যাপশন সহযোগে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়।
বাংলা ভাষায় এই ক্যাপশনে বলা হয়, আলহামদুলিল্লাহ ,কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে ডাঃ জাকির নায়েকের প্রথম বক্তৃতায় ৪ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
বাংলায় এমন ক্যাপশনযুক্ত কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে ।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
ডাক্তার জাকির নায়েকের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের ২৫শে মে তিনি কাতারের দোহায় এক সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন।
ইউটিউবে এই লেকচার, এবং অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ক্লিপ পাওয়া যায়। যেমন দেখুন এখানে , এখানে ।
এই অনুষ্ঠানেই ৪ জন ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ঘটে, যা ইউটিউবে বিভিন্ন এ্যাঙ্গেল থেকে ধারণ করা একাধিক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। যেমন দেখুন –এখানে , এখানে , এখানে ।
ফেসবুকেও এই ভিডিও ২০১৬ সালেই আপলোড করতে দেখা গিয়েছে। যেমন দেখুন এখানে ।
এই অনুষ্ঠানের মঞ্চসজ্জা , আলোচ্য ব্যক্তিদের পোষাক পরিচ্ছদ এবং কথা-বার্তার সাথে আলোচ্য ভিডিওর মঞ্চসজ্জা,পোষাক এবং কথাবার্তা মিলে যাচ্ছে।
কাজেই এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, আলোচ্য ভিডিওটা সাম্প্রতিক সময়ের নয়, বরং পুরনো ভিডিওই ভুল দাবিতে বর্তমান সময়ে ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া, কিছু ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, জাকির নায়েক বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন, এবং বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন।
এ তথ্যের পক্ষে সুনিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা জাকির নায়েকের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজেও এমন কোনো পোস্ট পাওয়া যায় নি, যেটা থেকে জানা যায় যে তিনি কাতার অবস্থান করছেন।
সার্বিক বিবেচনায় এ সংক্রান্ত সকল পোস্টকে ফ্যাক্টওয়াচ ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|