১৪৪ ধারা জারির দাবিটি সঠিক নয়

Published on: December 10, 2022

নয়াপল্টন থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম গ্রেপ্তার এবং ১৪৪ ধারা জারি — এই শিরোনামে একটি খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে এখানে কমপক্ষে দুইটি অসংগতি চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমত, নয়াপল্টন থেকে নয়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছিলো এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার দেখানো হয়। দ্বিতীয়ত, মূলধারার গণমাধ্যম অথবা বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কোথাও বিএনপি সমাবেশকে সামনে রেখে ১৪৪ ধারা জারির খবর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই দাবিকে আংশিক মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

 

এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

এসব পোস্টে “My Blog” নামে ওয়েবপোর্টালের একটি প্রতিবেদন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ডের সাহায্যে অনুসন্ধান করা হলে, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ এ প্রকাশিত বিবিসির একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। “মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখিয়েছে ডিবি­­­” শিরোনামে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যকে তাদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে তুলে নেয়া হয়। পরবর্তীতে নয়াপল্টনের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাদের দুইজনকে গ্রেফতার দেখানোর কথা জানায় ডিবি পুলিশ।

অর্থাৎ, মির্জা ফখরুলকে নয়াপল্টন থেকে নয় বরং তার নিজ বাসভবন থেকে তুলে নেয়া হয়েছিলো।

 

অন্যদিকে, এসব পোস্টে ১৪৪ ধারা জারির কথাও বলা হয়। তবে ভাইরাল এই প্রতিবেদনের শিরোনামে এমন দাবি থাকলেও মূল খবরে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। বরং অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিবেদনের বিস্তারিত অংশটি দৈনিক ইনকিলাবের ১৬ নভেম্বর, ২০২২ এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে হুবুহু তুলে দেয়া হয়েছে।

ভাইরাল প্রতিবেদন

মূল প্রতিবেদন

 

পরবর্তীতে, বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে কোথাও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কি না জানতে অনুসন্ধান করা হলে, দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে কোথাও এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশ কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

অর্থাৎ, ভাইরাল এসব ফেসবুক পোস্টের দাবিটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। প্রথমত, মির্জা ফখরুল ইসলামকে পল্টন থেকে নয় আটক করা হয়েছিলো তার নিজ বাসভবন থেকে, দ্বিতীয়ত, ১৪৪ ধারা জারির তথ্যের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল এই দাবিটি আংশিক মিথ্যা।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh