Published on: June 24, 2021
২২ জুন ২০২১ তারিখে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে “HSC-21,22 শিক্ষার্থীদের কলেজ খোলার পর ৪০০০ টাকা করে দেওয়া হবে” এমন বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার হতে দেখা গেছে। বাস্তবে এটি একটি মিথ্যা তথ্য। উক্ত পোস্টগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে তথ্যসূত্র হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো-কে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু দৈনিক প্রথম আলো এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও এবিষয়ক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। |
গত ২২ ও ২৩ জুন, ২০২১ তারিখে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে উক্ত মিথ্যা তথ্যসংবলিত পোস্টটি শেয়ার হতে দেখা গেছে। এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
‘বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাবার্তা’, ‘বাংলাদেশ শিক্ষাবার্তা’, ‘শিক্ষাবার্তা’ নামের বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ থেকে মূলত এই বানোয়াট তথ্যটি ছড়ানো হচ্ছে। এসব পেজের প্রোফাইলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ব্যবহৃত সিলমোহরের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে যা উক্ত মিথ্যা তথ্যটিকে জনসাধারণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে সাহায্য করতে পারে। অবশ্য “শিক্ষা বার্তা” নামের একটি পেজ তাদের অন্য একটি পোস্টে স্বীকার করেছে যে, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বা সরকারি কোনো শিক্ষা দপ্তরের অফিসিয়াল পেজ নয়। এদিকে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাথে যোগাযোগ করে ফ্যাক্টওয়াচ টিম নিশ্চিত হয়েছে এরকম কোনো সংবাদ প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। সম্ভবত মিথ্যা তথ্যটিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পেইজগুলো প্রথম আলো-র নাম ব্যবহার করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়েও এমন কোনো তথ্য পায়নি ফ্যাক্টওয়াচ টিম। ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তথ্যটি মিথ্যা, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গতবছর মার্চ মাসের ২৬ তারিখ প্রথম সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে এরপর আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়নি। তাই শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কিংবা পরীক্ষা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
‘সরকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার করে টাকা অনুদান দেবে’ শীর্ষক পুরানো গুজব
“সরকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার করে টাকা অনুদান দেবে” এমন একটি গুজব ইতিপূর্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। উক্ত গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে গত ৭ মার্চ ২০২১ তারিখে টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যায়নপত্র তুলে অনলাইনে টাকার জন্য আবেদন করতে ভিড় করেছিলেন অনলাইনের দোকানগুলোতে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান। |