খালেদা জিয়ার মৃত্যুর গুজব ভাইরাল

Published on: December 17, 2023

যা দাবি করা হচ্ছে: ফেসবুকে ভাইরাল এই ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুবরণ করেছেন। 

ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিটি মিথ্যা। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মারা যান নি। এরকম কোন তথ্য বা খবর বিএনপির ফেসবুক পেজ কিংবা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও প্রকাশিত য় নি। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গুজবের উৎস:

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোর এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানেএখানেএখানে এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, যমুনা টিভির খবর দেখানো হচ্ছে যেখানে উপস্থাপিকা বলছেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মারা গেছেন। সকাল সোয়া সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ন্না ইলাইহি রাজিউন”। 

প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট কিছু কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক মূলধারার গণমাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুবরণের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি। কিন্তু জানা যায় যে, তিনি অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তাছাড়া ভাইরাল ভিডিওতে থাকা উপস্থাপিকার কথার সাথে ভিডিওতে দেখানো শিরোনামের কোনো মিল নেই। হেডলাইনে লেখা রয়েছে “অবরোধ সমর্থনে বিএনপি’র মিছিল”। পরে এই হেডলাইনের সাহায্যে অনুসন্ধান করা হলে, যমুনা টিভির মূল প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন-টিতে দেখা যাচ্ছে যে, উপস্থাপিকার অডিও কেটে আরেকটি অডিও বসানো হয়েছে। 

ঐ অডিওতে জানানো হয় যে, খালেদা জিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কিন্তু খালেদা জিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ নয় বরং রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অর্থ্যাৎ, পরিষ্কারভাবেই দেখা যাচ্ছে, ভাইরাল ভিডিওটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এডিট করা হয়েছে। খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাই তার মৃত্যুর দাবিটি সঠিক নয়।

সুতরাং, সবগুলো অসংগতি বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh