Published on: July 25, 2022
 সম্প্রতি ফেসবুকে “নামাজ শেষেই কমলাপুর রেলস্টেশন ঘেরাও যার হাতে যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়েছে” শিরোনামযুক্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এক মাস আগে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণমিছিলের একটি ভিডিও এবং বৃহস্পতিবারে কমলাপুর রেলস্টেশনে রনির দেওয়া একটি বক্তব্যকে জোড়া দিয়ে ভাইরাল ভিডিওটি বানানো হয়েছে। সুতরাং উক্ত শিরোনামযুক্ত ভিডিওটি নামাজ শেষে রেলস্টেশন ঘেরাওয়ের কোনো ভিডিও নয়। যে কারণে এসকল ভিডিওগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে। |
ভিডিওটির পোস্টগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
৮ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটির শুরুর অংশের গণমিছিলটিতে ব্যবহৃত ব্যানারটির উপরের অংশে Mass procession & Memorandum Submission লেখাটির সূত্র ধরে বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড সার্চ করা হয়। তাতে ১৬ জুন ২০২২ তারিখে যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেল থেকে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর একটি ভিডিও পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির সাথে আলোচ্য ভাইরাল ভিডিওর প্রথম অংশের হুবহু মিল পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, এই ভিডিওটি ব্যবহার করে আগেও “জেলের তালা ভেঙে” মামুনুল হকের মুক্তি শিরোনামযুক্ত পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টওয়াচ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
ভিডিওটির দ্বিতীয় অংশে জনৈক রনির একটি বক্তব্য দেখানো হয়েছে। কী-ওয়ার্ড সার্চে দেখা যাচ্ছে ২১শে জুলাই ২০২২ তারিখ বৃহস্পতিবার রনির দেয়া একটি বক্তব্য দেশ টিভিতে ‘জীবনে রেলওয়ে পুলিশের প্যারেড দেখি নাই, আজকে প্যারেড গ্রাউন্ড বানাই ফেলছে’ শিরোনামে প্রচার করা হয়েছে। দেশ টিভিতে প্রচারিত রনির বক্তব্যটির সাথে আলোচ্য ভিডিওটির দ্বিতীয় অংশের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। দেশ টিভি থেকে প্রকাশিত ভিডিওটি দেখুন এখানে।
অতএব উক্ত শিরোনামযুক্ত ভিডিওটি ২২শে জুলাই শুক্রবার নামাজ শেষে রেলস্টেশন ঘেরাও কর্মসূচির নয়, বরং এটিকে বানানো হয়েছে ১৬ জুন ২০২২ এবং ২১শে জুলাই ২০২২ তারিখের দুটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে জোড়া দিয়ে। যে কারণে এমন শিরোনামযুক্ত ভিডিওগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
|
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|
এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
