বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব?

Published on: September 16, 2023

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার চুরি করা হয়েছে, কি পরিমাণে চুরি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি – এ বার্তা নিয়ে সম্প্রতি একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ফ্যাক্টওয়াচ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে দেখেছে যে, দাবিগুলো কোনো প্রকার তথ্যসূত্র বা প্রমাণ ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে। এছাড়াও মূলধারার সংবাদমাধ্যমে বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ জাতীয় কোনো বার্তা প্রকাশিত হয়নি। সরকার বা বিরোধী দলের তরফেও এমন কোনো দাবি পাওয়া যায় নি। সে কারণে এমন দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে।

এমন পোস্টের কিছু নমুনা দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখা হয়। দেখা যায়, বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ, ডলার সংকট, বাণিজ্যিক লেনদেন ইত্যাদি নানা বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ বা ডলার চুরি হয়েছে এমন তথ্য কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থনীতি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এবং এখানে

 

উল্লেখ্য, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ৮ কোটি ১০ লক্ষ ১ হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার সে সময়ে চুরি হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পরে বিষয়টি জনসাধারণের সামনে এসেছিল। আরও জানতে দেখুন এখানে

প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগের ভল্ট থেকে ৫৫ কেজির বেশি সোনা চুরির ঘটনা ঘটেছে। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সংবাদ সম্মেলন এবং প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পরে এ বিষয়টি জানা যায়। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি বিষয়ে তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পরেই সামাজিক মাধ্যমে এসেছে এবং মানুষ জানতে পেরেছে। এই দাবির ক্ষেত্রে এমন কোনো ঘটনা ঘটে নি।

যেহেতু  তথ্যসূত্র ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার চুরির দাবি করা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি, এবং সরকার কিংবা বিরোধী দলের তরফ থেকেও এমন কোনো বক্তব্য দেখা যায়নি – তাই এমন দাবিকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh