রোজার কারণে এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিটি ভুয়া

Published on: January 16, 2024

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত একটি পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে, ফেব্রুয়ারিতে রোজা হওয়ার কারণে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হবে! তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে উক্ত পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে কোন নোটিশ পাওয়া যায় নি। উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ এ প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ এর রুটিনে দেখা গেছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ পরীক্ষা শুরু হবে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টের দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।

এমন দুটো পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে

 

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ফেব্রুয়ারিতে রোজা হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে – এই মর্মে শেয়ার হওয়া পোস্টের যথাযথতা যাচাই করতে আমরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি ঘেঁটে দেখি। অনুসন্ধানে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ পেছানো সংক্রান্ত কোন নোটিশ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায় নি৷ আমরা দেখেছি, বোর্ড কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে সেটা তৎক্ষণাৎ ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ এ প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ এর রুটিন মারফত জানা গেছে, পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। তাছাড়া, একাধিক সংবাদমাধ্যমও এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ করেছে যে, এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে। এই বিষয়ে কিছু সংবাদ পড়ুন এখানে, এখানে, এবং এখানে

এছাড়া, আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ এবং নিউজচেকার বাংলা ফেসবুক এবং টিকটকে ভাইরাল হওয়া এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিটি সঠিক কিনা তা যাচাই করে দেখেছে এবং উক্ত দাবিটিকে ভুয়া বলে রায় দিয়েছে। প্রতিবেদন দুটো পড়ুন এখানে এবং এখানে

এর আগে সামাজিক মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ এর একটি রুটিন ভাইরাল হয়েছিল যা ফ্যাক্টওয়াচ সেই সময় যাচাই করে দেখেছিল এবং ভুয়া বলে সাব্যস্ত করেছিল। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে। 

অতএব, উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, ফেব্রুয়ারিতে রোজা হওয়ার কারণে এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু করার কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় নি। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষাটি রুটিন অনুযায়ী যথাসময়ে শুরু হবে।

সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টের দাবিকে মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh