পুরানো ভিডিওকে বিএনপি নেতা আমান-গয়েশ্বর গ্রেফতারের প্রতিবাদ মিছিল দাবি

Published on: August 3, 2023

সম্প্রতি ‘’বিএনপির নেতা আমান ও গয়েশ্বর গ্রেফতারের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে নুর বাহিনী’’ ক্যাপশনে কিছু ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে ভিপি নূর এবং তার সমর্থকেরা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করলে জানা যায়, ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়। ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে জানা যায়, এটি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্মরণে আয়োজিত একটি স্মরণসভায় হামলার প্রতিবাদে বের হওয়া একটি মশাল মিছিলের ভিডিও। ২০২২ সালের এই ভিডিওটিকে সাম্প্রতিক কালে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ মিছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভিডিওর দাবিটিকে বিভ্রান্তিকর সাব্যস্ত করছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান

ভাইরাল ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে জানা যায়, আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় হামলার প্রতিবাদে গণ অধিকার পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত একটি মশাল মিছিল। ভিডিও থেকে এটিও জানা যায় যে, মিছিলটি গণ অধিকার পরিষদ এর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার ব্যানারে বের হয়েছিলো।


পরবর্তীতে, এই ভিডিওর সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেশ রুপান্তর নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ৭ অক্টোবর ২০২২ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেই ভিডিওর কিছু অংশ ভাইরাল পোষ্টে ব্যবহার করা হয়েছে। এছড়াও, দৈনিক সমকালের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজেও  ৭ অক্টোবর ২০২২ প্রকাশিত এই একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। মূলত, গত ৭ অক্টোবর ২০২২ এ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত একটি স্মরণসভায় হামলার প্রেক্ষিতে এই মিছিলটি বের হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে

এছাড়া ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির দাবির প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করা হলে, এই সম্পর্কিত কোনো তথ্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি। প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড এর সাহায্যে অনুসন্ধান করা হলে, মূলধারার কোনো গণমাধ্যমেও ভাইরাল ক্যাপশনের পক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয় এবং বিভিন্ন সংগঠন সেই সময় এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপক প্রতিবাদ করে।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে। 

সুতরাং, সার্বিক তথ্য উপাত্ত বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত দাবিটিকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করছে। 

 

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh