Published on: June 26, 2023
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি তথ্য ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে, বোরকা পরে আসায় পরীক্ষায় বসতে দেয়া হল না ছাত্রীদের। তবে, কোন স্থানের ছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়নি এ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাভাষায় প্রচারিত হওয়ায় অনেকেই ধরে নিচ্ছেন যে এমন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে। কিন্তু, বাংলাদেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তবে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী দেশটির হায়দ্রাবাদে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। যার উপরে ভিত্তি করেই মূলত তথ্যটি ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। |
ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:
বোরকা পরে আসার কারণে পরীক্ষা দিতে না-দেয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করা হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম থেকে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, ভারতীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, দেশটির হায়দ্রাবাদে গত ১৬ জুন এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। হায়দরাবাদের কেভি রাঙ্গা রেড্ডি মহিলা ডিগ্রি কলেজে পরীক্ষা চলছিল। সেখানে বোরকা পরে পরীক্ষা দিতে এসেছিল এক দল ছাত্রী। বোরকা পরে থাকায় তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। বলা হয়, বোরকা খুললে তবেই পরীক্ষায় বসতে দেয়া হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা পরে ছাত্রীরা বোরখা খুললে তবেই তাদের পরীক্ষায় বসতে অনুমতি দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।
উল্লেখ্য ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোতে উল্লেখ করা হয়নি যে, ঘটনাটি ভারতের হায়দ্রাবাদে ঘটেছে। সুতরাং অনেকেই একে বাংলাদেশের ঘটনা মনে করে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বিভ্রান্তির কিছু নমুনা নিচে তুলে ধরা হল:
অতএব, সবকিছু বিবেচনা করে ভাইরাল এই দাবিকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
সংশোধনী: ভুলক্রমে রিপোর্টটির খসড়া কপি প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় তা সম্পাদনা করে পুনরায় প্রকাশ করা হলো। |
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ |