ইসরায়েলের ড্রোনে ঈগল পাখির আক্রমণের ভিডিও নয় 

Published on: April 28, 2024

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত একটি ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, ইসরাইলের একটি ড্রোন আক্রমণ করেছে ঈগল পাখি। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ভিডিওটি ইসরায়েলের ড্রোনে ঈগলের আক্রমণের কোনো ঘটনার নয়। মুলত, দৃশ্যটি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার হ্যারিসন অঞ্চলে ধারণ করা হয়েছে। Wing নামের একটি ডেলিভারি সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ড্রোনে করে কফি ডেলিভারি দেয়া হতো। ডেলিভারি করতে যেয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ড্রোন আকাশে কাকের আক্রমণের শিকার হয়। সেই ভিডিও ইসরায়েলের ড্রোনে ঈগল পাখির আক্রমণ– এমন ক্যাপশনে প্রচার হচ্ছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ ক্যাপশনগুলোকে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

এমন কিছু পোস্টের নমুনা দেখুন এখানে, এখানে, এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে গুগলে সার্চ করা হয়। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানসারির সংবাদ মাধ্যম news.com.au থেকে প্রকাশিত “Wing delivery drones have been attacked in Canberra” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনের মূল বিষয় হলো, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় অঞ্চলে বেন রবার্ট নামের এক ব্যক্তি সকালের কফির জন্য অপেক্ষা করছিল। প্রতিদিনের মতো Wing নামের ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানে তার কফি আসার কথা। হঠাৎ দেখতে পান একটি ড্রোনে কাক আক্রমণ করেছে। সে সময় তাত্‌ক্ষণিক দৃশ্যটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করেন। পরবর্তীতে তা ইন্টারনেটে প্রচার করেন। প্রসঙ্গত, প্রতিবেদনটির সাথে যেই ভিডিও প্রচারিত হয়েছে হুবহু একই ভিডিও ইসরাইলের ড্রোনে ঈগল পাখির আক্রমণ ক্যাপশনে প্রচার হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এই ঘটনার উপরে ABC News অস্ট্রেলিয়ার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে “Birds attacking drone food deliveries in Canberra, as lockdown drone deliveries spike”

শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ড্রোনটি কাকের আক্রমণের ফলে প্রায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তবে শেষ পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে ড্রোনটি সকালের কফি পৌছে দিতে সক্ষম হয়। তবে পাখিদের নিরাপত্তার কথা ভেবে Wing নামের প্রতিষ্ঠানটি ওই নির্দিষ্ট এলাকায় ড্রোন-ডেলিভারি সার্ভিস দেয়া বন্ধ করে।

সুতরাং, “ইসরায়েলের ড্রোন ঈগল ছিড়ে খাচ্ছে” ইত্যাদি ক্যাপশনে যে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে তা অস্ট্রেলিয়ার একটি ভিডিও।

তাই ফ্যাক্টওয়াচ এমন ক্যাপশনগুলোকে “বিভ্রান্তিকর” চিহ্নিত করছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh