“বোরকা জ্বালাতে গিয়ে নিজের জ্বলে গেলো” — দাবিটি মিথ্যা, ভিডিওটি পুরনো

Published on: February 10, 2022

সম্প্রতি “বোরকা জ্বালাতে গিয়ে নিজের জ্বলে গেলো” ক্যাপশনে একটি এক মিনিটের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার হয়েছে। মূলত এটি ২০১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। নিজেদের দাবির সমর্থনে পাঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে কিরণজিৎ (২৭) নামের একজন শিক্ষিকা নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন এবং পরদিন ভোরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। পুরনো সেই ভিডিওটি বর্তমানে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভূয়া ক্যাপশনে শেয়ার করা হচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচ সঙ্গত কারণেই এটিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।

সম্প্রতি ফেসবুকে “বোরকা জ্বালাতে গিয়ে নিজের জ্বলে গেলো” ক্যাপশনে শেয়ারকৃত ভিডিওটি দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

বিভিন্ন কী-ওয়ার্ডের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, মূল ভিডিওটি প্রায় ১২ বছরের পুরনো। ২০১০ সালের  ৭ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) পাঞ্জাবের কাপুরথালায় শিক্ষামন্ত্রী উপিন্দরজিৎ কাউরের বাসভবনের নিকটে এ ঘটনা ঘটে। কিরণজিৎ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে, এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম (ইজিএস) ইউনিয়নের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছিলেন কোর্সে ভর্তির পরে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ (ইটিটি) এর অধীনে ডিগ্রির দাবিতে। এই সমস্ত শিক্ষকরা পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের প্রত্যন্ত সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের অধীনে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পড়াচ্ছিলেন।

ঘটনার দিন তাদের প্রতিবাদ তীব্র আকার ধারণ করলে, কয়েকজন শিক্ষক দুপুর ২ টার দিকে পানির ট্যাঙ্কিতে উঠে যান। তাদের মধ্যে কিরণজিৎ (২৭) নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন এবং তার দেহের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরদিন ভোরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

এ বিষয়ক এনডিটিভি এবং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন পড়ুন এখানে এবং এখানে।


 

উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের হাইস্কুল ও কলেজে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে আসা নিষিদ্ধ করা কেন্দ্র করে হঠাৎ সারা দেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে অনলাইনে ভাইরাল একটি ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে কর্ণাটক রাজ্যের এক কলেজে কালো বোরকা এবং হিজাব পরা এক মুসলিম ছাত্রীকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে শ্লোগান দিয়ে হয়রানি করছে গেরুয়া কাপড় হাতে জড়ো হওয়া কিছু যুবক। আর তাদের প্রতি উত্তরে ‘আল্লাহু আকবর’ শ্লোগান দিচ্ছেন সেই ছাত্রীটি।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

Leave a Reply