যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে চীনকে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছেন জো বাইডেন?

Published on: November 22, 2023

যা দাবি করা হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন।

যা পাওয়া যাচ্ছে: দাবিটি বিভ্রান্তিকর। সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে মূলত পাঁচটি বিষয় আলোচিত হয়েছে। বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম তাইওয়ান ইস্যু। তাইওয়ানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শি জিনপিংকে জো বাইডেন নতুন করে কি বলেছেন তা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মাধ্যম ব্লুমবার্গের জনৈক প্রতিনিধি। প্রশ্নটির জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমি পরিষ্কার করে শি জিনপিংকে জানিয়েছি তাইওয়ানের নির্বাচনে চীনের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র আশা করে না। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই বক্তব্যটিই বাংলাদেশী কিছু গণমাধ্যমে এমন ভাবে এসেছে যে, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন”। তবে সার্বিক তথ্য-প্রমাণ বলছে, তাইওয়ানের আসন্ন নির্বাচনে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন জো বাইডেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে নয়।

এমন কয়েকটি পোস্টের নমুনা দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

সংবাদটির সত্যতা যাচাই করতে মূলধারার একাধিক দেশীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একই সংবাদ কিছু গণমাধ্যমে একভাবে এসেছে। অপরদিকে দ্য ডেইলি স্টার সহ আরও কিছু গণমাধ্যমে সংবাদটি ভিন্নভাবে এসেছে। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি পাওয়া যাবে এখানে। যে কারণে উক্ত সংবাদটির মূল উৎসের সন্ধান করা হয়। তা করতে বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড নিয়ে সার্চ করা হয়।

যেই গণমাধ্যমগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন ইত্যাদি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে তারা মূলত বিবিসি নিউজকে তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে। যে কারণে শি জিনপিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকে নিয়ে বিবিসি থেকে কী ধরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার সন্ধান করা হয়। সেখান থেকে জো বাইডেন এবং শি জিনপিংএর বৈঠক নিয়ে বিবিসি থেকে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। প্রতিবেদনগুলো থেকে সেদিনের বৈঠকে  শি জিনপিং এবং জো বাইডেনের মাঝে কি ধরণের আলোচনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। তবে সেখান থেকে এমন কিছু পাওয়া যায়নি যা দেখে মনে হতে পারে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বাইডেন চীনকে কিছু বলেছেন।

প্রতিবেদনগুলোর সারমর্ম অনুযায়ী, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় যে পাঁচটি বিষয় সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে তা হলো:

১। সামরিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের যোগাযোগ রক্ষা:

২০২২ এর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রেপ্রেজেন্টেটিভস এর তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে চীন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ ছিন্ন করে। এবারের বৈঠকে দুই নেতা আবারও এই যোগাযোগ স্থাপনের অঙ্গীকার করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটাই এই বৈঠকের সবচেয়ে বড় অর্জন।

পেন্টাগনের সর্বশেষ প্রতিবেদন মতে, বেইজিং এর সঙ্গে সামরিক পর্যায়ে একাধিকবার যোগাযোগ ও বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তারা ‘অস্বীকার, বাতিল ও অবজ্ঞা’ করছে।

সামরিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পেন্টাগন।

২। তাইওয়ান:

বাইডেন, চীনকে অনুরোধ করেন তাইওয়ানের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানাতে। আগামী জানুয়ারিতে তাইওয়ানে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, যেখানে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাইওয়ানের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই।

৩। অর্থনীতি:

এই বৈঠকে শি জিনপিংয়ের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ছিল অর্থনীতি।

তিনি বলেন, ‘কোভিড থেকে সারা বিশ্ব বের হয়ে আসতে পেরেছে, কিন্তু এখনো এর প্রভাব কার্যকর রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, কিন্তু এর গতি অত্যন্ত ধীর।’ তিনি মার্কিন-চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হিসেবে অভিহিত করেন।

শি বলেন, তার ও বাইডেনের ‘ঘাড়ে অনেক দায়িত্ব’ এবং তারা একজন আরেকজন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন না।

৪। ফেনটানিল:

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষতিকারক মাদক হিসেবে ফেনটানিল দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যা দেশটির জন্য একটি বড় সমস্যা।

অবৈধ ফেনটানিল মাদক তৈরিতে যেসব কাঁচামাল ও রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহার হয়, সেগুলো যাতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে না আসে, সে বিষয়টির দেখভাল করার অঙ্গীকার করেন শি।

বাইডেন বলেন, ‘এতে মানুষের জীবন বাঁচবে এবং আমি এ বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট শি’র অঙ্গীকারের প্রতি সাধুবাদ জানাই।’

৫। মধ্যপ্রাচ্য:

গাজার চলমান পরিস্থিতি ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আরও নিরাপত্তা করিডর চালু ও মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়া নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা।

সশস্ত্র ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও শুরুতে এ সংখ্যা এক হাজার ৪০০ দাবি করেছিল দেশটি। ২০০ ব্যক্তিকে জিম্মি করে হামাস (শুরুতে সংখ্যাটি ২৪০ বলা হয়েছিল)।

হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় প্রতিশোধমূলক ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। কিছুদিন পর এতে যোগ দেয় স্থলবাহিনী। প্রায় ৪০ দিন ধরে চলমান হামলায় গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে, এই আশংকায় বাইডেন, শিকে অনুরোধ করেন ইরানের সঙ্গে আলোচনা করতে এবং তাদেরকে কোনো ধরনের উসকানিমূলক আচরণ থেকে বিরত রাখতে।

সেদিনের বৈঠক নিয়ে আলজাজিরা থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করেও এমন কিছু পাওয়া যায়নি যা দেখে মনে হতে পারে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বাইডেন চীনকে কিছু বলেছেন। প্রতিবেদনটি পাওয়া যাবে এখানে

বলাবাহুল্য, বিবিসি সেদিন বৈঠকের বিষয়ে লাইভ রিপোর্টিং করেছে। রিপোর্টিং এর প্রথম দিকে অর্থাৎ বৈঠক শুরুর পূর্বে সংবাদমাধ্যমটির মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রতিনিধি বারবারা প্লেট উসার (Barbara Plett Usher) এর বরাতে বলা হয়েছিল, “মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, তাইওয়ান, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।” তবে একথায় এটি পরিষ্কার না যে ঠিক কোন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হবে।

উল্লেখ্য যে, বৈঠক শেষে জো বাইডেন প্রেস কনফারেন্স করেছিলেন। শুরুতেই বৈঠক নিয়ে কি ধরণের আলোচনা হয়েছে তার একটি ব্যাখা তিনি দিয়েছেন। এরপরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তবে সেখান থেকে এমন কিছু প্রতীয়মান হয়নি যা দেখে বা পড়ে মনে হতে পারে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বাইডেন চীনকে কিছু বলেছেন। বলাবাহুল্য, গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠকের প্রেস রিলিজ যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যে কারণে সার্চ করে বাইডেনের সেদিনের সংবাদ সম্মেলনের পুরো বক্তব্যের লিখিত প্রতিবেদন এবং ভিডিও  পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি পাওয়া যাবে এখানে।  বাইডেনের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও পাবেন  এখানে

প্রতিবেদনটি নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে ফ্যাক্টওয়াচ। ৩১৯৫ শব্দের প্রতিবেদনটির একটি স্থানে জনৈক সাংবাদিক বাইডেনকে তাইওয়ানের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নটির ধরণ ছিলো এমন যে, তাইওয়ানের বিষয়ে চীন হস্তক্ষেপ করে থাকে। এটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইতিপূর্বে তাদের কনসার্ন জানিয়েছে। তাই তাইওয়ানের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে নতুন করে কিছু বলেছে কীনা। প্রশ্নটির জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমি পরিষ্কার করে শি জিনপিংকে জানিয়েছি তাইওয়ানের নির্বাচনে চীনের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র আশা করে না। নির্বাচন নিয়ে বাইডেনের এই মন্তব্যটি ছাড়া আর কোনো কিছুর উল্লেখ নেই প্রতিবেদনটিতে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নির্বাচন নিয়ে বাইডেনের যেই কথাটি এসেছে তার বাইরে আর কিছু জানার সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর বক্তব্য পাওয়া গেছে, তিনি বলেছেন চীনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমূদ্রের একটি দ্বীপ। বিবিসি বাংলা প্রতিবেদনের  তথ্যমতে, চীন আরও  মনে করে তাইওয়ান তাদের দেশেরই অংশ। এটি চীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। যেটি ভবিষ্যতে কোন একদিন চীনের সঙ্গে যুক্ত হবে।

 

বিবিসি, যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন, জো বাইডেনের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও  এবং আল-জাজিরার সংবাদ বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, তাইওয়ানের নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি মন্তব্য করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনকে হস্তক্ষেপ না করা বিষয়ে বাইডেনের কোনো মন্তব্য নেই। এ বিষয়ে আরও কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনও বিশ্লেষণ করা হয়। skynews.com.au থেকে বৈঠকটি নিয়ে যেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তার শিরোনাম হলো “Joe Biden warns Xi Jinping against Taiwan interference”. প্রতিবেদনটি পাবেন এখানে। nbcnews.com থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম হলো “Joe Biden and Xi Jinping talk military cooperation, climate and Tawain” প্রতিবেদনটি পাবেন এখানে

অর্থাৎ, সকল তথ্য-প্রমাণে এটিই প্রমাণ হচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানের নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যা কিনা কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত নয়।

তবে উক্ত দাবিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তার তথ্য সূত্র হিসেবে বিবিসির নাম এসেছে পুর্বেই যা উল্লেখ করেছে ফ্যাক্টওয়াচ। যে কারণে বিবিসি থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিজস্ব বিশ্লেষণগুলো একাধিকবার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এবং তা বিবিসি থেকে প্রকাশিত হয়েছে কিনা তার সন্ধান করা হয়। যার ফলে সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত অনুমান নির্ভর কিছু বিশ্লেষণ বিবিসির একটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায়। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে শি জিনপিং এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকটি নিয়ে বিবিসি থেকে লাইভ রিপোর্টিং করা হয়েছিল। রিপোর্টিংটি চার পেজের। দ্বিতীয় পেজে বিভিন্ন সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ ছিলো। দ্বিতীয় পেজের প্রতিবেদনটি পাওয়া যাবে এখানে

‘নর্থ আমেরিকা’ সম্পাদক সারা স্মিথ “What Biden wants from today’s meeting with Xi” শিরোনামে একটি ব্যক্তিগত বিশ্লেষণী প্রতিবেদন লিখেছেন। প্রতিবেদনটির শেষ অংশে তিনি যা লিখেছেন তা হলো:

“Additionally, on the agenda will be American complaints about Chinese-made fentanyl that US authorities say is flooding the country, and warnings against China attempting to interfere in next year’s US presidential election.”

 

তবে দ্বিতীয় পেজের প্রথম অংশে উল্লেখ আছে,

Biden says he told Xi not to interfere in elections

On the topic of election interference, Biden says he told Xi he expected “no interference at all”.

“We had that discussion as he was leaving,” he said.

Biden is also asked about whether he “trusts” Xi.

“Do I trust? Trust, but verify, as the old saying goes,” he says.

যে কথাটি বাইডেন তাইওয়ানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের জনৈক প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন।

তাই ধারণা করা হচ্ছে, বিবিসি লাইভ রিপোর্টিং এর দ্বিতীয় পেজে সারা স্মিথের ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ এবং  প্রতিবেদনের প্রথম অংশে  নির্বাচন নিয়ে বাইডেনের উত্তর। এবং সেখানে কোনো দেশের নাম না থাকায় বাংলাদেশী গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ভেবেছেন বাইডেন চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে হস্তক্ষেপ না করতে নিষেধ করেছেন । যে কারণে তথ্যসূত্র হিসেবে বিবিসির নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

যদিও সার্বিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে তাইওয়ানের নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি মন্তব্য আছে। এর বাইরে নির্বাচন নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।

তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে এমন দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করেছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh