৭ কোটি গ্রাহক পূর্তিতে ব্যবহারকারীদের ৭৯৯৯ টাকা করে বোনাস দিচ্ছে বিকাশ?

Published on: February 29, 2024

৭ কোটি গ্রাহক পূর্তি উপলক্ষে বিকাশ সকল গ্রাহককে ৭৯৯৯ টাকা করে বোনাস দিচ্ছে – এমন একটি পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এটি একটি প্রতারণামূলক ফাঁদ বা স্ক্যাম। বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা আসে নি। পোস্টের সাথে যে লিংক যুক্ত করা হয়েছে তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট দিবস বা উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বিকাশ অফারের নামে স্প্যামিং পোস্টে সংযুক্ত ফিশিং(phishing) লিংকের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা ও তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার মতোই এটি আরেকটা প্রচেষ্টা । তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে। 

গুজবের উৎস

এ বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পোস্টটি ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

 

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

বিকাশের ওয়েবসাইট এবং অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজের সাম্প্রতিক বিভিন্ন পোস্ট এবং অফার পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে তারা ৭ কোটি গ্রাহক পূর্তি উপলক্ষে সকল গ্রাহককে কোনো বোনাস অফার করেনি। বসন্ত উপলক্ষে নির্দিষ্ট কিছু অনলাইন ও রিটেইল শপ এবং হোটেল-রিসোর্টে বিকাশে লেনদেন করলে সীমিত সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিসকাউন্ট অফার করা হয়েছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে। 

বিকাশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ৭ কোটি গ্রাহক পূর্তি উপলক্ষে তারা এমন কোনো বোনাসের অফার দেয় নি। এগুলো প্রতারণামূলক মিথ্যা অফার যার সাথে বিকাশের কোনো সম্পর্ক নেই। বিভিন্ন প্রতারক চক্র বিকাশের নামে নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে নানা ধরনের মিথ্যা অফার দেখিয়ে বিকাশ গ্রাহকদের টাকা এবং বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে থাকে।

প্রতারণামূলক পোস্টের লিংকে ক্লিক করলে একটি অনিরাপদ আইপি অ্যাড্রেসযুক্ত ওয়েবপেইজে খুলছে যা স্পষ্টত বিকাশ ওয়েবসাইটের সাথে সম্পর্কিত কোনো ওয়েবপেইজ নয়। উক্ত ওয়েবপেইজে গেলে যা দেখা যাচ্ছে সেটার স্ক্রিনশট যুক্ত করা হলো –

এ ওয়েবপেইজের কার্যপ্রক্রিয়া থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে, এর সাথে প্রতারণামূলক ফিশিং লিঙ্ক সংযুক্ত রয়েছে যাতে ক্লিক করলে গ্রাহকদের তথ্য ও টাকা প্রতারকদের হাতে চলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। 

তাই সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে। 

বিভিন্ন উপলক্ষ দেখিয়ে নিয়মিত বিকাশের নামে ফেসবুকে এমন প্রতারণার চেষ্টা করা হয়।  এ সম্পর্কিত ফ্যাক্টওয়াচের কিছু প্রতিবেদন দেখতে পারেন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh