ভারতে বিমান বিধ্বস্তের দাবিতে এআই ভিডিও প্রচার 

6
ভারতে বিমান বিধ্বস্তের দাবিতে এআই ভিডিও প্রচার 
ভারতে বিমান বিধ্বস্তের দাবিতে এআই ভিডিও প্রচার 

ফেসবুকে কিছু ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যায় একটি যাত্রীবাহী বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ভিডিওতে এক নারী যাত্রী হিন্দিতে কথা বলছেন এবং দাবি করছেন, তাদের বিমান সাগরে পড়ে গেছে। ভিডিওটি শেয়ার করে অনেকে দাবি করছেন, ভারতের একটি যাত্রীবাহী বিমান সাগরে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটি বাস্তব কোনো দুর্ঘটনার নয়। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।

এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এবং এখানে।  

ভিডিওতে দেখা যায়, একজন নারী যাত্রী বলছেন, দুর্ঘটনার ফলে তাদের বহনকারী বিমান সাগরে পড়ে গেছে। ভিডিওর নিচের দিকে ‘Sora’ লেখা একটি লোগো দেখা যায়। Sora AI হলো OpenAI এর তৈরি একটি ভিডিও জেনারেটিভ টুল। এই টুলের সাহায্যে প্রম্পট (নির্দেশনা) দিয়ে কাল্পনিক ভিডিও তৈরি করা যায়। 

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ১৪ সেকেন্ডের মাথায় দরজার ওপাশ থেকে একটি হাত দেখা যায়। হাতটির দৈর্ঘ্য অস্বাভাবিকভাবে বেশি। এছাড়া বিমানের দরজা খোলার আগে থেকেই হাতটি বাইরে দেখা যায়। ভিডিওর চরিত্রগুলোর চলাফেরা এবং কণ্ঠে অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। এমন অসামঞ্জস্যতাগুলো কৃত্রিম ভাবে তৈরি ভিডিওর বৈশিষ্ট্য।

ভারতে বিমান বিধ্বস্তের দাবিতে এআই ভিডিও প্রচার 

দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে ভারতের প্রধান সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা (যেমন বিবিসি, রয়টার্স, দ্য হিন্দু, এনডিটিভি ইত্যাদি) পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে সাম্প্রতিক কালে ভারতের কোনো যাত্রীবাহী বিমান সাগরে দুর্ঘটনায় পড়েছে এমন খবর খুঁজে পাওয়া যায়নি।


এছাড়া ভিডিওটি ডিপ ফেইক ভিডিও শনাক্তের টুল ডিপ ফেইক ও মিটারের সাহায্যে যাচাই করলে এটি শতভাগ এআই-জেনারেটেড হিসেবে শনাক্ত হয়। 

ভারতে বিমান বিধ্বস্তের দাবিতে এআই ভিডিও প্রচার 

সুতরাং ভিডিওটি বাস্তব কোনো বিমান দুর্ঘটনার নয়। এটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা ডিপফেক ভিডিও। তাই, ফ্যাক্টওয়াচ ভিডিওগুলোকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

/শিবলী সাদিক সিফাত

Claim:
ফেসবুকে কিছু ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যায় একটি যাত্রীবাহী বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ভিডিওতে এক নারী যাত্রী হিন্দিতে কথা বলছেন এবং দাবি করছেন, তাদের বিমান সাগরে পড়ে গেছে।

Claimed By:
Facebook Users

Rating:
False

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh