সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নোয়াখালীতে একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে শেরপুরের একটি নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে একজন স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়। তার মরদেহ উদ্ধারের ভিডিও এটি।
আলোচ্য ভিডিও থেকে বিভিন্ন কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চে “শেরপুর সংবাদ” নামক একটি ফেসবুক পেজে ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা যাচ্ছে, ভিডিওটি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ আপলোড করা হয়েছিলো। ক্যাপশনে বলা হয়েছে – নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা বাতকুচি এলাকায় চেল্লাখালী নদীতে নিখোঁজ হুমায়ুন নামে ১০ বছর বয়সী এক শি’শুর মরদেহ উদ্ধার। এলাকায় শোকের মাতম।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রথম আলোসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন (১,২,৩) পাওয়া যায়। জানা যাচ্ছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে হুমায়ুন (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ দুপুরবেলা হুমায়ুন ও তার চাচাতো ভাই চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানির সঙ্গে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে যায়। এ সময় তীব্র স্রোতে হুমায়ুন ভেসে যায়।
পরে খবর পেয়ে বিকেলে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে তীব্র স্রোতের কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাত নয়টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হুমায়ুনকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ভাইরাল পোস্টগুলোতে শিশুটির বাবার পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে তিনি নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে শিশুটির বাবার নাম দুলাল মিয়া। তিনি বুরুঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া যায়, শেরপুরের একটি ভিন্ন ঘটনাকে নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের লাশ উদ্ধারের ভিডিও দাবিতে ফেসবুকে মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এসব পোস্টকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
Claim: সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নোয়াখালীতে একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
Claimed By: Facebook Users
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh