ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে “পাকিস্তানের হামলায় লণ্ডভণ্ড হলো ভারতের একটি পার্ক” – এমন দাবিতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে “পার্ক সার্কাস” লেখা একটি দালানের পেছন দিক থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ভিডিওটি এ বছরের ২০ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য। এর সাথে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের কোনো সম্পর্ক নেই।
রিভার্স ইমেজ সার্চে পাওয়া যাচ্ছে, “Back To Aktar Uniquee” নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিলো। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে – “A huge fire broke out behind Park Circus station”।
এছাড়া “royn4083” নামক একটি ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকেও ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ তে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিলো বলে পাওয়া যাচ্ছে।
পরবর্তী অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা “Zee 24 Ghanta”-এর ইউটিউব চ্যানেলে ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ধারণকৃত একই ঘটনার ভিডিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। “Park Cicus Fire Incident | পার্ক সার্কাস স্টেশন সংলগ্ন কারখানার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন!” – শিরোনামে ভিডিওটি প্রকাশের তারিখ ২০ জানুয়ারি, ২০২৫।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সন্ধান করে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আনন্দবাজার ও সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি কারখানার গোডাউনে আগুন লাগে।
অর্থাৎ দাবিকৃত ভিডিওটি ভারতের কোনো পার্ক নয়, বরং পার্ক সার্কাস নামক একটি রেলস্টেশনের পাশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার। এ ঘটনা ঘটেছিলো ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ শুরুর অন্তত তিন মাস আগে। তাই ভুয়া দাবিতে ফেসবুকে প্রচার চালানোয় ফ্যাক্টওয়াচ এসব পোস্টকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
Claim: ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে “পাকিস্তানের হামলায় লণ্ডভণ্ড হলো ভারতের একটি পার্ক” – এমন দাবিতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে “পার্ক সার্কাস” লেখা একটি দালানের পেছন দিক থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ভিডিওটি এ বছরের ২০ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য। এর সাথে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের কোনো সম্পর্ক নেই।
Claimed By: Facebook Users
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh